ডায়াবেটিস

Diabetes mellitus হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যাতে পরম বা আপেক্ষিক ইনস্যুলিনের অভাবজনিত কারণে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।
এই রোগে রক্ত থেকে গ্লুকোজ টিস্যুতে কম যায় ফলে রক্তে গ্লুকোজের আধিক্য দেখা দেয়। রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা যখন কিডনির গ্লুকোজ ধরে রাখার মাত্রার বেশি হয় তখন প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ বের হতে থাকে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে মধুমেহ বলা হয় ।




# কারণঃ

যদিও এ রোগের মূল কারণ অজ্ঞাত তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে জেনেটিক কারণের সাথে পরিবেশগত কারণের একটা সংমিশ্রণের ফলেই এই রোগটি হয়ে থাকে।
* যাদের পিতা মাতা বা পিতৃকুল বা মাতৃকুলে এই রোগ আছে তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
* খারাপ খাদ্যাভাস।
* খারাপ জীবনযাত্রা প্রণালী
* গর্ভাবস্থা
প্রভৃতি কারণে মূলত এটি বেশি হয়ে থাকে

# লক্ষণঃ

* বার বার অধিক পরিমানে প্রস্রাব করা।
* অধিক পরিমাণে পিপাসা লাগা।
* খাবারে বেশি আগ্রহ ।
* অসারতা , দেহ দূর্বল হয়ে যাওয়া।
* মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া।
* দেহের ওজন কমে যাওয়া।
* নানারকম জীবাণুর সংক্রমণ বেশি হওয়া ।




# ব্যাবস্থাপনাঃ

ডায়াবেটিস নিরাময় যোগ্য রোগ নয়, এটি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য একটি রোগ। তাই একবার যার এই রোগ হবে তাকে ধরেই নিতে হবে যে সারা জীবনই তাকে এই রোগ নিয়েই ভাল থাকতে হবে। তাই এই রোগ ধরা পরার সাথে সাথেই কোন রকম অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ মত জীবণযাত্রা প্রণালী ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধও সেবন করতে হবে।
অনেকের ধারণা ডায়াবেটিস হলে খাবার কম খেতে হবে এই ধারণাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন বা খাবেন না বাকি সব খাবারই পরিমাণ মত খাবেন তবে একবারে বেশি পরিমানে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারেবারে খাবেন। অর্থাৎ সুস্থ মানুষ যেই খাবারটা ৩ বারে খাবেন, ডায়াবেটিস রোগী সেই একই পরিমাণ খাবার ৫-৬ বারে খাবেন। তাহলেই মোটামুটি সব কিছুই খেতে পারবেন । আর নিয়মিত ৪০ মিনিট করে প্রতিদিন হাটলে আশা করা যায় আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেই থাকবে । তারপরও যদি কারও সুগার লেভেল স্বাভাবিক না থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে হবে।

নিম্নে ডায়াবেটিস এ কার্যকর কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধের তালিকা দেওয়া হলঃ

# একক ঔষধঃ

* গুড়ুচী -
স্বরষ ১০ মিলি করে দিনে ২ বার সেব্য।
* আমলকী -
চূর্ণ ৬ গ্রাম করে দিনে ২ বার সেব্য।
* জামবীজ -
চূর্ণ ৫ গ্রাম করে দিনে ২ বার সেব্য।
* করলা -
রস ১ চামুচ করে দিনে ২ বার সেব্য।
* মেথী -
চূর্ণ ১ চামুচ করে দিনে ২ বার সেব্য।

# যৌগিক ঔষধঃ

* Tab. Bashanta kushumakar rash-125mg
* Tab. Brihat bangeshwar rash -125mg
* Tab. Chandra prava bati - 500mg
* Tab. Aroggya bardhini
* Tab. Bango vasma
* Tab. Agni tundi bati - 125mg
* Syp. Lodhrasav
* Syp. Jambadyarista




# জটিলতাঃ

ডায়াবেটিস রোগীদের নিম্নলিখিত জটিলতা সমূহ দেখা দিতে পারে-

হঠাৎ সৃষ্ট জটিলতা সমূহঃ

* Hypoglycemia
* Hyperglycemia & ketoacidosis
* Hyperosmolar non ketotic diabetic coma
* Lactic acidosis
* Acute circulatory failure etc.

দীর্ঘ মেয়াদী জটিলতা সমূহঃ

* Diabetic nephropathy
* Diabetic Retinopathy
* Blindness
* Cataract
* IHD
* Chronic ulceration of feet and gangrene
* Diabetic neuropathy

ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ আপনি যদি সঠিক ভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তাহলে আপনি সাধারণ সুস্থ মানুষের মতই জীবনযাপন করতে পারবেন আর যদি আপনি এটাকে অবহেলা করেন তাহলে এটির বিভিন্ন জটিলতায় আপনার শরীর রোগের কারখানা হয়ে উঠতে পারে। তাই এই রোগে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই।

সচেতনতায়ঃ


ডাঃ ওয়াজেদ হোসেন

বিএএমএস (ঢাবি), ডিএমইউ
সরকারি রেজিষ্ট্রেশন নম্বরঃ A-171
মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদিক)
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পবা, রাজশাহী

চেম্বার : ইয়াশ বিডি হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার, রাজশাহী। 

সিরিয়াল : ০১৭৭০-১০১৫২৬, ০১৩২৭-৮৯৪৫৬৯ 

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এপয়েন্টমেন্ট নিতে নিচের লিখায় ক্লিক করুনঃ 

বুক এপয়েন্টমেন্ট 

See translation



Comments

Popular posts from this blog

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি

অশ্বগন্ধা (Withania somnifera )

আয়ুর্বেদিক ঔষধ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নোত্তর